অনলাইন ডেস্ক
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় প্রায় পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
বন্যা কবলিতদের অভিযোগ, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর ঘাট এলাকায় গতবছর বানের পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে তা ঢুকে বালাসীঘাটের ওয়াপদা বাঁধের পূর্ব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচ গ্রামের অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বানের পানিতে গাইবান্ধা-বালাসী সড়কও তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে ওয়াপদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এরআগে বাঁধের বিভিন্ন অংশে ইদুরের করা গর্তে ভাঙন দেখা দেয়, বর্তমানে এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পানির তোড়ে ফাঁটল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সময়মত বাঁধ সংস্কার না করায় প্রতিবছর এমন দুভোর্গের মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের পনেরটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে দেখা দিয়েছে বন্যা।
শনিবার (২৭ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গাইবান্ধায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘাঘট, তিস্তা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে।
আগামী দুই দিন থেকে তিনদিন আরও পানি বৃদ্ধির পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো জরুরি মেরামতসহ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান।